অক্ষয় কুমারের অজানা তথ্য | Unknown Facts About Akshay Kumar | Akshay Kumar Lifestyle | Akshay Kumar Box Office | Akshay Kumar Filmography
3 minute read
তাঁকে সুপারস্টার বা অভিনেতা বা যেটাই বলেন না কেন তিনি সত্যিকারের একজন যোদ্ধা। অমৃতসরের মফস্বল শহর থেকে উঠে এসে তিনি এখন মুম্বাইয়ের আলো ঝলমলে সিনেমা জগতের সবচেয়ে ব্যস্ততম অভিনেতা, গত কয়েক বছরেই ধারাবাহিকভাবে সবচেয়ে বেশী সফল ছবির নায়ক। সিঙ্গাপুর, দুবাই কিংবা ঢাকা হয়ে বোম্বের পথটা তিনি পাড়ি দিয়েছেন একা, একদম শূন্য থেকে শুরু করে আজ তিনি শিখরে। বলিউডে কোন ফাদার-গডফাদার ছিল না তাঁর, একের পর এক ফ্লপ আর ডিজাস্টারের সাগর পেরিয়েই তাঁর হাতে ধরা দিয়েছে আজকের এই সাফল্য। হার মানেননি, হেরে যাবার ভাবনাটা মাথায় আসতেও দেননি কখনও।
💐 তো চলুন দেখে নেওয়া যাক এই খিলাড়ী খ্যাত যোদ্ধার কিছু অজানা তথ্যঃ
🔰 অক্ষয় কুমারের আসল নাম রাজীব হরি ওম ভাটিয়া।
🔰 অক্ষয় কুমার ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ সালে পাঞ্জাবের অমৃতসরে জম্মগ্রহন করেন।
🔰 সকলেই জানেন যে অক্ষয় ব্যাংককের একটি হোটেলে কাজ করেছেন তবে খুব কমই জানেন যে তিনি ঢাকার পূর্বাণী হোটেলের শেফ ছিলেন পাশাপাশি কলকাতার ট্র্যাভেল এজেন্টের জন্যও কাজ করেছেন।
🔰 ১৯৮৭ সালে অক্ষয় কুমার একটি ছবি করেছিলেন যেখানে তিনি মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষকের ভূমিকা পালন করেছিলেন, সেই ছবিটি মহেশ ভট্ট পরিচালিত ‘আজ’ । চরিত্রটির নাম অক্ষয় ছিলো এবং পরবর্তীতে, তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে অক্ষয় রেখেছিলেন।
🔰 অক্ষয় কুমার পুরোপুরি অভিনেতা হিসেবে ১৯৯১ সালে "সৌগন্ধ" ছবির মধ্যে দিয়ে বলিউডে পা রাখেন।
🔰 ২৯ বছরের অধিক অভিনয় জীবনে তিনি এক শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং কয়েকটি পুরস্কার অর্জন করেছেন, তার মধ্যে রয়েছে ২০১৬ সালে তার অভিনীত রুস্তম। যার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, এবং ২০০১ সালে অজনবী ও ২০০৫ সালে গরম মসলা চলচ্চিত্রের জন্য দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার পান।
🔰 আমরা সকলেই জানি অক্ষয় কুমার সব ধরণের খেলাধুলাকে সমর্থন করেন তবে খুব কমই জানেন যে তিনি ভারতীয় হকি দলের জন্য ২ কোটি রুপি অনুদান দিয়েছেন।
🔰 একটা সময় ছিল যখন অক্ষয় একটানা 16 টি ফ্লপ ফিল্ম উপহার দিয়েছিল এবং এটি ছিল তাঁর বলিউড কেরিয়ারের সবচেয়ে কঠিন সময়।
🔰 অক্ষয় কুমারের কোনও প্রিয় বলিউড মুভি নেই, তাঁর সর্বকালের প্রিয় সিনেমাটি একটি ইতালিয়ান চলচ্চিত্র ‘লাইফ ইজ বিউটিফুল’।
🔰 আব্বাস মাস্তানের একটি ছবিতে অক্ষয় কুমার একটি স্টান্টের জন্য 40000 রুপি নিয়েছিলেন এবং স্টান্টম্যানকে 5000 রুপি দিয়েছিলেন এবং সেটটিতে প্রতিটি কর্মীর মধ্যে 35000 টাকা দিয়েছিলেন। [Respect]
🔰 অক্ষয় কুমার যেকোনো ধরসের শো এর সাক্ষাতকার সকালে দিতে পছন্দ কররন। অক্ষয় কুমার যখন প্রথমবারের মতো ‘কফি উইথ করণে’ এসেছিলেন তখন সেই শুটটি সকাল ৯ টায় করা হয়েছিল এবং এটিই প্রথম শ্যুট ছিল যা সকালে কখনও হয়েছিল।
🔰 অক্ষয় কুমার তার পুরানো বন্ধু, পরিবার এবং জিনিসপত্রের জন্য খুব সংবেদনশীল। তিনি এখনও তার কেনা কেনা প্রথম গাড়ি এবং বাইকটি যত্নে রেখেছেন।
🔰 মডেলিংয়ের জন্য অক্ষয়ের একটি পেশাদার পোর্টফোলিও প্রয়োজন ছিলো একসময়। কিন্তু অর্থের অভাবে, তিনি এর ব্যয়টি পরিচালনা করতে সক্ষম হননি। সুতরাং তার পোর্টফোলিও তৈরি করতে তিনি তার ফটোগ্রাফারের সাথে বিলাসবহুল বাড়ির দেয়ালের সামনে ছবিগুলো তুলার পরিকল্পনা করেছিলেন। একবার তাকে প্রহরী দ্বারা দেওয়াল থেকে দূরে দাঁড়াতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সেই বাড়ি অক্ষয় কুমারের মালিকানাধীন। [খিলাড়ী]
🔰 অক্ষয় কুমার তাইকওয়ন্ডোর ব্ল্যাকবেল্ট ধারক এবং এটি অর্জন করতে 6 বছর সময় লেগেছিল।
🔰 অক্ষয় যখন মার্শাল আর্ট শিখাতো তখন একজন ছাত্রের পিতা তাকে জিনিসপত্রের জন্য একটি মডেলিংয়ের ভূমিকায় অফার করেছিলেন যার জন্য তাকে 5000 রুপি দেওয়া হত। এই ঘটনার পরে তিনি ফুলটাইম মডেলিং করতে বেছে নিয়েছিলেন।
🔰 অক্ষয় স্কুলে পড়া কালিন তিনি ব্লাডি 10 নামে একটি গ্যাং তৈরি করেছিলেন। আর এই ব্লাডি 10 গ্যাং কে সেসময় স্কুলের সকলেই ভয় পেতো।
🔰 অক্ষয় কুমার সন্ধ্যা সাতটার পরে কিছু খান না।
🔰 তিনি প্রথম বলিউড অভিনেতা যার চলচ্চিত্রের সংগ্রহ ২০ বিলিয়ন রুপী ছাড়িয়ে যায় ২০১৩ সালে, এবং ৩০ বিলিয়ন রুপী ছাড়িয়ে যায় ২০১৬ সালে।
🍄 তার ফিল্মি ক্যারিয়ার 🍄
👉 সর্বোমোট চলচিত্রঃ ১১২ টি
👉 সুপার হিট/ব্লোকবাস্টারঃ 9 টি
👉 হিট/সেমি হিটঃ 20 টি
👉 এভারেজঃ 29 টি
👉 ফ্লপঃ 54 টি
🔍 সোর্সঃ "Filmibeat, Egiye, Google, Wiki, BharatTimes, BOI"